হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম খোমেনি (রহ.) তাঁর ‘জিহাদে আকবার’ গ্রন্থে হাওযার (মাদ্রাসা) ছাত্রদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ প্রদান করেছেন, যা ধারাবাহিকভাবে আপনাদের সম্মুখে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠন তালাবাদের গুরু দায়িত্ব
আপনারা যারা আজ হাওযায় শিক্ষা গ্রহণ করছেন এবং ভবিষ্যতে সমাজের নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করছেন, তারা যেন ভুলে না যান—আপনাদের দায়িত্ব শুধু কিছু ধর্মীয় পরিভাষা শেখা নয়; এর বাইরেও রয়েছে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
আপনাদের উচিত হাওযার মধ্যেই নিজেকে এমনভাবে গড়ে তোলা ও চরিত্র নির্মাণ করা, যাতে ভবিষ্যতে যখন কোনো শহর বা গ্রামে যাবেন, তখন সেখানকার মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত ও আত্মিকভাবে পরিশুদ্ধ করতে পারেন।
আপনাদের কাছে প্রত্যাশা করা হয়, যখন ফিকহের কেন্দ্র থেকে বের হবেন, তখন আপনি নিজেই পরিপূর্ণভাবে গঠিত ও আত্মশুদ্ধ হবেন, যাতে মানুষের চরিত্র গঠন ও ইসলামী নৈতিক শিক্ষায় তাদের সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। কিন্তু আল্লাহ না করুন, যদি এই জ্ঞানের কেন্দ্রে থেকেই আপনি নিজেকে সংশোধন না করেন, আত্মিক উন্নতি অর্জন না করেন—তবে যেখানেই যান না কেন, মানুষকে পথভ্রষ্ট করে তুলতে পারেন, এমনকি তাদের ইসলাম ও ধর্মীয় নেতৃত্বের প্রতি বিরূপ ধারণা জন্ম নিতে পারে।
আপনাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুতর। যদি হাওযার অবস্থানকালে আত্মশুদ্ধির চেষ্টায় ব্যর্থ হন এবং শুধু কিছু পরিভাষা মুখস্থ করে ফিকহি ও নীতিগত বিষয়ের জ্ঞান অর্জনেই সীমাবদ্ধ থাকেন—তবে ভবিষ্যতে আপনারাই ইসলাম ও মুসলিম সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারেন।
আল্লাহ না করুন, যদি আপনার কোনো অনুচিত আচরণ, কথা বা কাজে একজন মানুষ বিপথগামী হয়ে ইসলাম থেকে বিমুখ হয়, তবে আপনি একটি মারাত্মক গুনাহের (আ‘যামুল কাবায়ের) মধ্যে লিপ্ত হবেন; এমনকি আপনার তওবাও কবুল হওয়া কঠিন হতে পারে। পক্ষান্তরে, যদি আপনার মাধ্যমে একজন মানুষ সৎপথে আসে, তবে হাদীস অনুযায়ী, তা পৃথিবীর সমস্ত ঐশ্বর্যের চেয়েও উত্তম।
সুতরাং, আপনারা যে দায়িত্ব বহন করছেন, তা অত্যন্ত ভারী, গভীর এবং তাৎপর্যপূর্ণ।
আপনার কমেন্ট